করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে আটকেপড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চীনে ফিরতে শুরু করেছেন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চীনের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
ঢাকার চীনা দূতাবাস এ তথ্য জানায়। চায়না ইস্টার্ন এয়্যারলাইন্সের বিশেষ এই ফ্লাইটটি শিক্ষার্থীদের ফেরত নেওয়ার প্রথম ফ্লাইট হিসেবে সোমবার কুনমিংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে। চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী চীনে ফিরতে পারবেন। প্রয়োজনে আরও চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস। এর ফলে করোনা মহামারির কারণে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে অবস্থানের পর পুনরায় চীনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের চীনে ফিরিয়ে নিতে মোট ছয়টি চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে গত শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চীনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জানান ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এই ছয়টি চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী চীনে ফিরে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে আরও চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে বলেও এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের এক বৈঠকে কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে চীন থেকে আসা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।